তেতাল্লিশ বছরপর ক্যাটকেটে কমলা রঙের খামটা হাতে নিতেই রহমান সাহেবের কেমন অস্থির লাগছিলো। ঘেমে নেয়ে একাকার, হাত কাঁপছে। কুরিয়ারের ছেলেটা কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছে। বারবার জিজ্ঞেস করছে, স্যার শরীর ঠিক আছে তো?
রহমান সাহেব উত্তরে শুধু মাথাটা একটু উপর নিচ করলেন। ছেলেটার দেখানো জায়গায় প্রাপকের ঘরে কোনরকমে সিগনেচার করে দিলেন। দরজা বন্ধ করে বসার ঘরের সোফায় ধপাস করেই বসে পরলেন। চোখের সামনে ভেসে উঠছে সেইসব দিনগুলোর কথা। কতো স্মৃতি! কতো ভালোলাগা!
তন্বী ঘরে ঢুকে রহমান সাহেবের এভাবে চুপচাপ বসে থাকা আর ঘর্মাক্ত মুখ দেখে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে। দৌড়ে কাছে এসে রহমান সাহেবের কপালে হাত দিয়ে জানতে চাইলো, বাবা তোমার শরীর খারাপ লাগছে? বাবা কী হয়েছে? প্রেশার বেড়েছে? দাঁড়াও আমি বিপি মেশিনটা নিয়ে আসছি।
মেয়েটা বাবার কিছু হলেই এতো অস্থির হয়ে পরে! উল্টো রহমান সাহেবকেই তাকে সামলাতে হয়। এবারও তাই হলো। আমার কিচ্ছু হয়নি, আমি ঠিক আছি। পারলে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খাওয়া।
তন্বী অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। চার বছর আগে ডাক্তার ঠান্ডা পানি খেলে শরীরের ক্ষতি হয় বলার পর আর কোনদিন এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পান করেন নি। আর আজ ঠান্ডা পানি চাচ্ছে? নিশ্চয়ই কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। চিন্তিত মুখে ঠান্ডা পানি আনতে গেলো।
চার ভাই বোনের মধ্যে সবার বড় রহমান সাহেব। বাবা ছিলেন স্কুল মাস্টার। সারাজীবনের সঞ্চয় জমিয়ে প্রায় চল্লিশ বছর আগে ঢাকা থেকে বেশ দূরে উওরায় একটা তিন কাঠার জমি কিনেছিলেন। সময়ের পরিবর্তন সেই দূরের জমিকে আজ এই ক্রমশ বড় হতে থাকা মেগা সিটির মধ্যে নিয়ে এসেছে তাদের। বাবার রেখে যাওয়া টিনশেডের বাড়িটাকে ভেঙে বছর পনেরো আগে রহমান সাহেব পাঁচতলায় রূপ দিয়েছেন। নিজে তিন তলায় থাকেন, মেজোকে দিয়েছেন চার তলা, ছোটকে পাঁচ তলাটা আর একমাত্র বোনকে দোতলাটা। ভাইবোন সবাই একই বাসাতেই থাকেন। এখনো চার ভাইবোন প্রতিদন বিকেলে-সন্ধ্যায় একসাথে চা খান। কোনদিন দোতলায়, কোনদিন চার তলায়! তলা চেঞ্জ হয় তাদের একসাথে চা-নাস্তা খাওয়া চেঞ্জ হয়না।
তন্বী ঠান্ডা পানির গ্লাসটা বাবার হাতে ধরিয়ে দিতে গিয়ে সবুজ খামটায় চোখ আটকে গেলো। বাবা কার চিঠি? তোমার? কে দিয়েছে?
পরপর বেশ কয়েকটা প্রশ্ন করলেও কোন উত্তরই পেলো না। বাবাকে দেখে মনে হচ্ছে এ জগতে নেই। অন্য কোন জগতে, অন্য কোন সময়ে বিচরন করছেন।
বহুদিনপর রহমান সাহেব মনের দরজা খুলে দিলেন। হুহু করে পুরনো বাতাস বইতে লাগলো। রহমান সাহেবদের পাশের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হয়ে এলো পুতুলরা। রহমান সাহেব তখন ক্লাস ওয়ান কি টুয়ে পড়েন! পুতুল মাত্র স্কুলে যাওয়া আসা শুরু করেছে। পাশের পাড়ায় স্কুল, প্রায় প্রতিদিনই একসাথে যেতো। বিকেলে বাসার সামনের মাঠে সবাই মিলে খেলতো। রহমান সাহেব হাফপ্যান্ট আর পুতুল ফ্রক পরতো। হঠাৎ করেই রহমান সাহেব খেয়াল করলেন গোল্লাছুট, টিলোএক্সপ্রেস, বরফ-পানি, খেলতে খেলতে তিনি ফুলপ্যান্ট পরছেন আর পুতুল ফ্রক থেকে সালোয়ার কামিজ! পুতুল তখন নতুন নতুন ওড়না পরাও শুরু করেছে। এই পুতুলকে দেখে রহমান সাহেব নতুন পুতুলকে আবিষ্কার করলেন। নিজের মধ্যেই তুলু (পুতুলকে আদর করে তুলু ডাকতেন) কে অনুভব করা শুরু করলেন। তখন পুতুল ক্লাস সিক্সে আর উনি ক্লাস এইটে। খেলার সাথী কখন মনের সাথী হয়েছে টের না পেলেও নিজের ভিতরের পরিবর্তনটা বেশ টের পেলেন। এক বিকেলে খেলার ফাঁকে পুতুলের হাতে একটা কাগজ গুঁজে দিয়ে দেছুট। কিছুটা অস্বস্তি এবং কিছুটা ভয়! ওদিক থেকে কী প্রতিক্রিয়া আসে? কাগজটা দেবার পর বেশ কদিন পুতুল খেলতে এলো না। রহমান সাহেবের ঘুম শেষ! রাতে ঘুমাতে পারে না, বিকেলে মাঠে এলে চোখ এদিক ওদিক খুঁজতে থাকে তুলুকে। পাঁচদিনের দিন তুলু এলো কিন্তু তার চোখ মুখে সম্পূর্ণ ভিন্ন আভা! রহমান সাহেবের সামনে পরতেই কেমন লজ্জায় গুটিসুটি মেরে রইলো। "কিরে তুই কয়দিন এলিনা কেন? আর জবাবও দিলিনা?"
পুতুল কোন উত্তর দেয়নি। সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে হাতে বানানো একটা চোখ জ্বালাকরা কমলা রঙের খাম ধরিয়ে দিলো। সাথে বললো, বাসায় গিয়ে পড়বে প্লিজ, এখানে না।
রহমান সাহেব সেদিন খেলতে নামলেন না, একছুটে বাসায়। ঘরে গিয়ে খুব সাবধানে লুকিয়ে লুকিয়ে খামটা খুললো। গোটা গোটা অক্ষরে লেখা একটা চিঠি।
‘কিভাবে চিঠি লিখতে হয় জানিনা। শুধু এটুকুই জানি তোমার চিঠি পাবার পর থেকে আমার পৃথিবী বদলে গেছে। সবকিছুতেই তুমি! আমি রাজি কিন্তু এক শর্তে। আমাকে তুইতোকারি করা যাবে না। তুমি করে বলতে হবে এবং কচুরিপানার ফুল এনে দিতে হবে।’
চিঠিতে শুরু এবং শেষে কোন সম্বোধন ছিলো না। এরপর প্রায় প্রতিদিনই ক্যাটকেটে কমলা খাম পাওয়া এবং তার উত্তর দেয়া রহমান সাহেবের নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়ালো। সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে তাদের প্রেম ভালোবাসা ভালোই চলছিলো। সমস্যা দেখা দিলো যখন রহমান সাহেব ইন্টার পাশ করে বিএ তে ভর্তি হলো।
পুতুলের বাবার ক্যান্সার ধরা পড়লো। ওদের সহায় সম্বল সব বিক্রি করেও শেষ রক্ষা হলোনা। বাবা মারা যাবার পর ওর মামারা ওদেরকে এখান থেকে তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। এর মাস ছয়েক পরেই এক লন্ডনি ছেলের সাথে মামারা একরকম জোর করেই বিয়ে দিয়ে দেয়। রহমান জানতে পেরে ছুটে গিয়েছিল পুতুলের কাছে। কিন্তু সংসারের অভাব আর পারিবারিক সম্মান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে নিজের চাওয়াকে বিসর্জন দিলো পুতুল। ওর ছোট আরও চার ভাইবোন আছে। মামারা তাদের দেখভাল করবেন, পড়াবেন এই শর্তেই পুতুল রাজি হয়েছিলো। তাছাড়া রহমান তখনো ছাত্র, ওকে পালিয়ে বিয়ে করাটা দুই পরিবার মেনে নেবে না। পুতুলের উপায় ছিলোনা।
বিয়ের মাস চারেক পরই ওর স্বামী ওকে লন্ডন নিয়ে যায়। তিন চার বছর পরপর একবার দেশে এলেও কখনো রহমানের সাথে দেখা করার চেষ্টা করেনি। রহমানও খোঁজ পেতেন তুলু দেশে এলেই। কিন্তু অভিমানে কখনোই সামনে যাওয়া হয়নি।
তেরো বছর আগে একবার দেশে এসেছিলো পুতুল। তন্বীর বয়স তখন বারো। বাবা মেয়ে একসাথে শপিং এ গিয়েছিলো সেখানেই পুতুলের সাথে তিন যুগ পর রহমানের দেখা হয়ে যায়। রহমান বরফ পানি খেলায় ছুঁয়ে বরফ বললে যেমন মূর্তি হয়ে যায় ঠিক তেমনি শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। পুতুলও কিছুই বলতে পারছিলো না। তন্বীই পাশ থেকে রহমান সাহেবকে ধাক্কা দিয়ে বললো, বাবা তোমার কী হয়েছে? এই আন্টিকে দেখে স্ট্যাচু হয়ে গেলে!
রহমান তাকিয়ে দেখছে, সেই একই চোখ, সেই একই হাসি! নাকের নিচের সেই প্রিয় তিলটা সব একই রকম আছে শুধু একটু ওজন বেড়েছে সেই ছিপছিপে ভাবটা নেই। আর সিঁথির দুপাশের কিছু চুলে কালো সরে গিয়ে সাদার দেখা মিলছে। কী বলবে খুঁজে পাচ্ছিলো না। পুতুলই প্রথমে জিজ্ঞাসা করলো কেমন আছ? উত্তর পায়নি একটা হাসি ছাড়া। হাসিটার মানে ভালো আবার খারাপ দুটোই হয়। তন্বী কে আদর করে দিলো, মাশা আল্লাহ অনেক সুইট হয়েছে তোমার মেয়েটা। এর উত্তরেও সেই একই হাসি ফেরত পেলো। কথা জমেনি আর। দুজনই তাড়া আছে বলে নিজেদের ভীড়ে আড়াল করলো।
তন্বী বাসায় এসে বাবাকে হাজারটা প্রশ্ন করে কিন্তু উত্তরে শুধুই নিরবতা দেখেছে। তন্বী ফুফুর কাছে শুনেছে, বাবা একজনকে খুব বেশী ভালোবাসতো, এখনো মনে হয় বাসে। তার হঠাত করে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বাবা সবকিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তাহলে ইনিই কী সেই তিনি? যার জন্য বাবার নিজেকে গুটিয়ে নেয়া? অনেক চেষ্টা করেও বাবার মুখ থেকে তার নামটা জানা গেলোনা। ফুফুর কাছে ছুটে গেলো, বর্ননা দিতেই ফুফুর মুখ উজ্জ্বল হয়েও আবার নিভে গেলো। শুধু বললো, হুম উনিই পুতুল যার জন্য তোর বাবা সবকিছুই ছেড়ে দিয়েছেন। শুধু আমাদের আঁকড়ে ধরে আছেন আজ তেতাল্লিশটা বছর।
আজ বাবার হাতে কমলা খামটা দেখে তন্বীর মন ছটফট করে উঠলো। বাবা চিঠিটা নিয়ে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিলেন। তন্বী দরজায় কান পেতে শুনতে পেলো বাবার ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ। বাবা সন্ধ্যায় ছোট চাচার বাসায় চা খেতে গেলে তন্বী একটা অনুচিত কাজ করে ফেললো। বাবার চিঠিটা খুঁজে বের করে পড়লো।
যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও। তোমাকে দেয়া কষ্ট গুলো অনেক বছরপরে হলেও আমাকেই ছুঁয়ে যাচ্ছে। তুমি জানো কিনা জানিনা? আমাদের একমাত্র সন্তান রোপেন দুই বছর আগে রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। আমি মা হয়ে শোকটা সামলে নিয়েছিলাম কিন্তু ওর বাবা তা আর পেরে উঠেনি। দেড়টা বছর অস্থিরতা নিয়ে দিন কাটিয়ে আট মাস আগে সেভিয়ার হার্ট এটাক করে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারলাম না। এই কদিনেই আমি উপলব্ধি করেছি কাছের মানুষ হঠাত করেই দূরে চলে গেলে কেমন লাগে!
আমি ইচ্ছে করে তখন তোমায় ছেড়ে আসিনি। মামারা শর্ত দিয়েছিলেন যদি আমি বিয়েতে রাজি হই তাহলেই ওনারা মাকে এবং আমার ভাইবোনদের ওনাদের বাড়িতে থাকতে দিবেন, পড়ালেখা করাবেন। আমি রাজি না হলে সবাইকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে। তুমিই বলো আমি আমার ভালোবাসা রক্ষা করতে গিয়ে পুরো পরিবারকে নিয়ে পথে কীভাবে নামতাম? তুমিও তখন ছাত্র। এতোটা বোঝা তোমার উপরেই কি করে চাপিয়ে দিতাম? তাই ভেবেছিলাম আমি একাই সব হারিয়ে আমার মা আর ছোট ভাইবোনদের ভালো ভাবে বেঁচে থাকাটা নিশ্চিত করি। হ্যাঁ আমি এটুকু বলতে পারি, সারাজীবন আমি কিসের মধ্যে দিয়ে পার করেছি কেউ জানে না কিন্তু আমার ওই বড় ত্যাগটুকুর জন্যই আমার ভাই বোনেরা সবাই আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। সবাই ভালো আছে।
তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছে ছিলো। সেবার তোমার মেয়েকে দেখে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক শান্তি পেয়েছি তোমাকে সংসার করতে দেখে। তুমি ভালো থাকো এই দোয়া করি। আমারও বয়স হচ্ছে ষাটে পৌঁছে গেছি৷ ভাবছি একা না থেকে কোন ওল্ড হোমে চলে যাবো। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও পারলে দোয়ায় রেখো।
ইতি
তুলু।
বাবাটা এত্তগুলো বছর এতো কষ্ট চেপে রেখেছে। তন্বী রহমান সাহেবের মেয়ে না। তার মেঝো ভাইয়ের মেয়ে। কিন্তু ছোট বেলা থেকেই তার নেওটা ছিলো। একটু বড় হয়ে বাবার কাছেই চলে এসেছে। ওর বাবা-মা ও আপত্তি করে নাই। একই বিল্ডিংয়েই সবাই৷ চিঠি পড়ে অনেক্ক্ষণ কাঁদলো তন্বী। চিঠিটা জায়গামতো রাখার আগে পুতুলের পোস্টাল এড্রেস টুকে নিলো।
প্রায় মাস দুয়েক পর আবারো একটা কমলা খাম এলো রহমান সাহেবের ঠিকানায়। এবার অবাক হলেও আগের মতো অস্থির হলেন না রহমান সাহেব। হয়তো মনে মনে উনিও অপেক্ষা করছিলেন আরেকটা চিঠির! হাতে নিয়ে অনেকটা সময় বসেই থাকলেন। খুলে পড়লেন না। ভিতরে না জানি কী লিখা আছে? বরং চিঠি হাতে নিয়ে নিজের মতো ভেবে নেয়াটা অনেক বেশি নিরাপদ।
রুমে গিয়ে চিঠি খুলে পড়তে বসলেন।
আজ চিঠিতে সম্বোধন আছে।
প্রিয়.....
নামটা লিখতে গিয়েও লিখলাম না৷ যদি কোনদিন দেখা হয়! তখনই ডাকবো। তুমি আমায় ভালোবাসো তা জানি তবে এতোটা আশা করিনি। একটা জীবন কাটিয়ে দিলে একেবারেই একা! আমি এটা শোনারপর থেকে কোন ভাবেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছিনা। কান্নার দমকে সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আমি যাকে নিজের করে পাইনি সে কিনা নিজেকে আমার করেই রেখে দিয়েছে।
এখন বলাটা অন্যায় তারপরও মানুষ কতো ভুল করেও সুধরে নেয়। আমার জীবনের প্রথম সময়টুকু জুড়ে ছিলে তুমি। আমার শেষ সময়টুকু জুড়ে কী তুমি থাকতে পারো না?
তোমার কিংবা আমাদের ভালোবাসার উপরে এখন আর আমার কোন দাবী নেই। তবু খুব ইচ্ছে হচ্ছে বারান্দায় তোমার সাথে বসে চা খেতে। বাগানে তোমার সাথে হাঁটতে হাঁটতে ছোট্ট কাগজ মুঠোয় গুঁজে দেবার সৌভাগ্য কি হবে? আমি নেক্সট উইকে দেশে আসবো। যদি তুমি আমাকে রিসিভ করতে এয়ারপোর্টে আসো, খুব খুশি হবো। আর না এলেও মন খারাপ করবো না। সময়টাকে তার মতো করেই এগিয়ে যেতে দিতে চাই।
তন্বীকে আমার আদর দিও। ও খুবই ভালো মেয়ে।
ইতি
তুলু।
রহমান সাহেব হাসছেন সেই হাসিটা! যার অর্থ হ্যাঁ কিংবা না দুই ই হতে পারে। তন্বী দূর থেকে বাবার হাসিটার মানে খুঁজছে। বুদ্ধি করে মেয়ে হয়ে মায়ের কাজটা করে দিলো তন্বীই।
পডছি। পড়া শেষ করে বলতে পারব কেমন হল
Replyমন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো লাগা মন্দ লাগা জানবার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন
Replyযেভাবেই দেখুননা কেন এটা পরকীয়া। আর রহমান সাহেবের উচিত হবেনা মেয়েটার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা।
Reply