শাহরিয়ার সোহাগের কবিতা ও লেখা..................................(ঈদ সংখ্যা ২০২০)

ছেলেরা....
শাহরিয়ার সোহাগ
কটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ছেলেরা খুব জেদী থাকে, তাদের মধ্যে প্রেমিক সত্ত্বা ভর করে। প্রেয়সী হয় তাদের সব চিন্তা, কল্পনা, হাসি,কান্না কিংবা মাথা ব্যাথার কারণ।
যাদের প্রেমিকা নেই তাদের প্রেমিকা না থাকর চিন্তা, আর যাদের প্রেমিকা আছে-তারা তো আরো বেশি চিন্তায় থাকে।
প্রেমিকা কি করছে, কেমন আছে এমন প্রশ্ন-
দিনে যে কত হাজার বার করে তার হিসেব থাকে না। ওই বয়সে ছেলেরা জেগেও স্বপ্ন দেখে।
আর ঠিক যখন সেই বয়সটা পার হয়ে যায়,তখন সেই ছেলেটার নিজের বলতে কিছু থাকে না।
না থাকে নিজের জন্য সময়, না থাকে নিজের কোনো স্বপ্ন।
পরিবার কিভাবে ভালো থাকবে, কিভাবে পরিবারের মুখে হাসি ফুটানো যায়, সেসব চিন্তায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় তাদের। প্রেমিককে বিয়ের আগেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
এ সমাজে মেয়ের বাবাদের একটায় চাওয়া-
নিজের পায়ে খুব ভালো ভাবে দাঁড়াতে পারা ছেলে। হুম যত ভালো ভাবে দাঁড়ানো যেতে পারে।
চাওয়ার শেষ নেই।হোক সে ভুড়িওয়ালা কিংবা টাক মাথার। প্রেমিকের সাথে বিয়ে হোক আর না হোক, বিয়ের পরে যে মানুষটা আসবে তার ঘরে,
তার ইচ্ছে গুলো পূরণ করতেই হবে।
মা-বউমার ভুল বোঝাবুঝি এ সমজে নৈমিত্তিক ঘটনা। আর বিচারকের আসনে সেই ছেলেটা।
ছেলেটা তখন স্বপ্ন দেখে- ক্রিকেট খেলার মত,
তুমুল বৃষ্টিতে সেই বিচারকার্য পরিত্যাক্ত হোক।
তখন ছেলেগুলো যেন আলদীনের দৈত্য হয়,
পরিবারের সবার ইচ্ছে পূরনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়,সে পারুক আর না ই পারুক।
মা, বাবা, বাড়িতে অন্য কেউ থাকলে সে, বউ, সন্তান-সবাই। সবাই যেন চেয়ে থাকে এই মানুষটার দিকে। একটা নির্দিষ্ট বয়সে গিয়ে-সেই প্রেমিক ছেলেদের নিজের বলে কিছু থাকে না।...

বালিকা....
বালিকার চোখে চোখ রাখবো একদিন।
একদিন তার নরম আঙুল আমাকে ছুঁবে।
একদিন তার খোলা চুলে বাতাস লাগবে।
একদিন সে আমায় দেখে হাসবে।
একদিন বালিকা শাড়ি পরবে।
আঁচল, কুঁচি সামলাতে হিমশিম খাবে।
আমি তার কপালে টিপ পরিয়ে দেবো।
তাকে প্রিয়সীর মত দেখাবে।
বালিকার সুরেলা কণ্ঠে একদিন আমার কবিতা ভাসবে।
আমার ছন্দহীন আয়োজনে -
বালিকার সুনিপুণ ভালোবাসা মাখা থাকবে।
সেদিন বালিকা আমায় খুব ভালোবাসবে।


শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট
July 26, 2020 at 8:25 AM

অনেক সুন্দর।

~আশিকুর রহমান বিশ্বাস
যশোর।

Reply
avatar