সে আর আমি
ইলু কে
স্বপ্নের স্রোতে ডুব দিয়ে অন্য এক পৃথিবীতে
মগ্ন হই, মেঘ দেখি, বৃষ্টি দেখি, অগ্নিগিরি দেখি,
ঘুরে ঘুরে স্বপ্ন দেখি ঘুমের ভেতর।
সে তার খেলার কথা বলে যায়,
ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট ছোঁয়, গাল টেপে, নানা রঙা পুতুলের
আবদার আর কতো রাগ-অভিমান, কতো খুনসুটি!
আমি জানালার ফাঁক দিয়ে শূন্য আকাশ দেখি,
বিশীর্ণ চাঁদ দেখি, বৃষ্টি ও জ্যোৎস্নার
নাচ দেখি, ভূতের একাঙ্কিকা ...
তারা সব অবাক বিস্ময়ে চেয়ে থাকে,
ভাবে দু’টি শীর্ণ শব
স্বপ্নজাল ঘেরা গ্রহে হয়তো পেতো পূর্ণ এক নীল স্বপ্নবাসা
যেখানে তারা শরীর কখনো নয়, পুরোপুরি স্বপ্নগড়া মোমের পুতুল ...
ভেবে ভেবে চাঁদ ডোবে, মেঘ ডাকে, পেঁচা উড়ে যায়,
এ রাতের ইতিকথা হয়ে যায় চিরন্তন মরা রূপকথা -
আমার সহজ স্বপ্নে আমি দেখি ভূতের একাঙ্কিকা ...
ক্রোমিয়াম সিটি
চলছি বাই-ভার্বালে চড়ে। লেজার-ব্রিজের উপর দিয়ে।
পেছনে অনেক স্মৃতি ফেলে যাচ্ছি সামনে পরাবেগে।
ভেতরের কপোট্রনে মেঘের মতো
জমে গেছে বিষাক্ত অ্যাসিড।
লিরা আমাকে আজ ‘না’ বলেছে।
আজ আমি তাকে এক প্রজন্ম-৫ রোবোটের সাথে দেখেছি।
ওই রোবোটের সাথে সাক্ষাৎকালে তার চোখ থেকে
বেরিয়েছিল নীল লেজারিত আলো।
রোবোটের ঠোঁটে ছিল ক্রোধের লাল ডিজিটাল লাইট,
প্রতিদ্বন্দী প্রেমিককে দেখে।
আর আমার কপাল থেকে হলুদ এক আলো ঠিকরে পড়ে
তিন আলোর সংঘর্ষে ঘটলো এক তীব্র বিস্ফোরণ।
আজ ভাবি লিরা কি সত্যি নাকি ওমেগা পিসি-তে তৈরি
ত্রিমাত্রিক এক হলোগ্রাম?
পেরিয়ে যাচ্ছি লেজারের ব্রিজ, নিচে সমুদ্র, আর তার নিচে
সাবওয়ে হিমাগারে শুয়ে আছে লাখ লাখ নারী,
তাদের দেয়া হচ্ছে কৃত্রিম অক্সিজেন,
তারা সব ঘুমে মগ্ন
হাজার বছর ধরে।
একদিন কোনো এক উৎসবের দিনে
জেগে উঠে বল নাচ নেচে উঠবে তারা।
Marvelous poem vi
Reply