খুব ছোট্ট বেলা থেকেই তাসমিদের পাখির প্রতি অন্য রকমের এক দুর্বলতা রয়েছে। যখনই সময় পায় বারান্দার গ্রীলে দাঁড়িয়ে পাশের বড় নিম গাছে পাখির লাফালাফি দেখে। অনেক সময় কোনো চড়ুই পাখি ফুরুৎ করে গ্রীল দিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়লে সে খুশিতে টগবগ করতো।
মন চাইতো পাখিটাকে ধরে সামনা সামনি বসে অনেক গল্প করবে। কেমন করে উড়ে বেড়ায়, কী খায় ইত্যাদি। মাঝে মাঝে মনে হতো, ইস্, যদি একটা পাখি পুষতে পারতাম!একদিন যখন সে দেখলো, তার বাবা বিকালে অফিস থেকে ফেরার সময় বড় এবং সুন্দর একটি খাঁচা নিয়ে এসেছেন, তখন তার চোখকেও যেনো সে বিশ্বাস করতে পারছিলো না। খুশিতে দৌড়ে গিয়ে বাবার হাত থেকে খাঁচা নেয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু ভারী বলে তুলতে পারলো না। খাঁচাটা একটা কাগজ দিয়ে মোড়ানো ছিলো।খাঁচার কাগজ টেনে খুলে তাসমিদ দেখতে পেলো, তার ভেতরে রয়েছে উজ্জ্বল হলুদ ও বেগুনী রংয়ের আকর্ষণীয় এক টিয়া পাখি। খুশিতে তার চোখ মুখ চিকচিক করে উঠলো। মনে মনে ভাবলো, এ রকম একটা পাখিই তো চাইছিলাম। সে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করলো। বাবা খাঁচাটা নিয়ে সামনের বড় বারান্দায় রাখলেন। তখন প্রায় সন্ধ্যা হয় হয় অবস্থা। তাসমিদ এই প্রথম পাখিটার সঙ্গে কথা শুরু করলো।এই যে, সুন্দর টিয়া পাখি! আমি সত্যি সত্যিই তোমাকে ভালো ভাবে খাওয়াতে চাই। তবে এজন্য তোমার সম্পর্কে আমার বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। আচ্ছা বলো তো, তোমার প্রিয় খাবার কী?
মন চাইতো পাখিটাকে ধরে সামনা সামনি বসে অনেক গল্প করবে। কেমন করে উড়ে বেড়ায়, কী খায় ইত্যাদি। মাঝে মাঝে মনে হতো, ইস্, যদি একটা পাখি পুষতে পারতাম!একদিন যখন সে দেখলো, তার বাবা বিকালে অফিস থেকে ফেরার সময় বড় এবং সুন্দর একটি খাঁচা নিয়ে এসেছেন, তখন তার চোখকেও যেনো সে বিশ্বাস করতে পারছিলো না। খুশিতে দৌড়ে গিয়ে বাবার হাত থেকে খাঁচা নেয়ার চেষ্টা করলো কিন্তু ভারী বলে তুলতে পারলো না। খাঁচাটা একটা কাগজ দিয়ে মোড়ানো ছিলো।খাঁচার কাগজ টেনে খুলে তাসমিদ দেখতে পেলো, তার ভেতরে রয়েছে উজ্জ্বল হলুদ ও বেগুনী রংয়ের আকর্ষণীয় এক টিয়া পাখি। খুশিতে তার চোখ মুখ চিকচিক করে উঠলো। মনে মনে ভাবলো, এ রকম একটা পাখিই তো চাইছিলাম। সে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে করলো। বাবা খাঁচাটা নিয়ে সামনের বড় বারান্দায় রাখলেন। তখন প্রায় সন্ধ্যা হয় হয় অবস্থা। তাসমিদ এই প্রথম পাখিটার সঙ্গে কথা শুরু করলো।এই যে, সুন্দর টিয়া পাখি! আমি সত্যি সত্যিই তোমাকে ভালো ভাবে খাওয়াতে চাই। তবে এজন্য তোমার সম্পর্কে আমার বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। আচ্ছা বলো তো, তোমার প্রিয় খাবার কী?
আমার প্রিয় খাবার হলো, শস্যদানা। বললো টিয়া পাখিটা।
তুমি কীভাবে খাও?আমি খাবারকে আমার দুই পায়ের নখ দিয়ে ধরে রাখতে পারি। এরপর এটাকে খাই ঠিক যেনো স্যান্ডউইচ খাবার মতো করে। একটা শস্যদানার মধ্যে সাধারণত দুই ভাগ থাকে। এ শস্যদানা আবার একটা শক্ত আবরণ দিয়ে মোড়ানো থাকে, যাকে খোসা বলে। আমি আমার জিহবা দিয়ে এ খোসাকে ভেঙ্গে দুই দানাকে মুহুর্তের মধ্যেই আলাদা করতে পারি। মজার বিষয় কী জানো! এই যে আমি এভাবে আমার ক্ষুধা মিটাতে পারি, এটা মহান সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে আমার জন্য অনেক বড় একটা আশীর্বাদ।তাসমিদ বললো, আমি সত্যি সত্যিই অবাক হচ্ছি আর ভাবছি, তোমাদের পালকে এই যে, এতো মন মাতানো রংয়ের বাহার এটা তোমরা কীভাবে পেলে?শোনো, অন্য আর সকল পাখির মতো আমাদের পালকের নিচে এক জাতীয় উপাদান আছে যেখান থেকে এত বাহারী রং তৈরি হয় এবং আমাদের পালকে ছড়িয়ে পড়ে। যখন আমাদের পালক প্রথম গজাতে শুরু করে তখন থেকেই এ রং ছড়ানো শুরু হয়। আরো মজার ব্যাপার হলো, এ রংগুলো সূর্যের আলোকে প্রতিফলিত করে। তুমি কী জানো, যখন আমাদের শরীর থেকে একটি পালক ঝরে যায় তখন সেখানে আপনা আপনি আরেকটি পালক গজায়?বাহ্! বেশ মজার ব্যাপার তো।হ্যাঁ, শুধু তাই নয়। প্রতিবারই যখন তারা গজায় তখন আগের যে রং ছিলো সে রংই ধারণ করে। এ ঘটনার দ্বারা খুব সহজেই প্রমাণ হয় যে, মহান আল্লাহ কত বড় এবং তাঁর সৃষ্টি কত নিখুঁত।তাসমিদ ঘাড় নেড়ে বললো, বিরাট আজব ব্যাপার। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব?
আল্লাহর পক্ষে সবই সম্ভব। তোমার কাছে এটা অসম্ভব মনে হলেও তাঁর কাছে খুবই সামান্য ব্যাপার।আমি সত্যিই ভীষণ অবাক হচ্ছি। বাবা আর মা’র কাছে শুনেছি আল্লাহর অনেক ক্ষমতা। তিনি আমাদের সকলকে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর সৃষ্টির মাঝেও যে, এতো সুন্দর ছবি আঁকতে পারেন কল্পনাও করিনি কখনো। জানো, আমি স্কুলে ছবি আঁকা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছি বেশ কয়েকবার, এমনকি জাতীয় পর্যায়েও। মন্ত্রীর কাছে থেকে পুরস্কার নিয়েছি অনেকবার। আমার ছবির মধ্যে আমি প্রচুর রংয়ের কাজ করি। কিন্তু তোমার বাহারি রং দেখে আমার ধারণা ভুল হয়ে গেলো। আচ্ছা, তোমরা যে শব্দ শুনতে পাও সেটা নাকি নকল করতে পারো? পারলে তা কীভাবে করো?আমরা যে শব্দ শুনি তা হুবহু নকল করতে পারি কিন্তু তার অর্থ বুঝি না। এটাও আল্লাহর একটা বিশেষ অনুগ্রহ। তা না হলে, আমার মতো ছোট্ট একটা সৃষ্টির পক্ষে কোনো রকম মেধা বা যোগ্যতা ছাড়াই কীভাবে কোনো শব্দ শুনে তা হুবহু নকল করা সম্ভব? শুধুমাত্র আমাদের স্রষ্টা মহান আল্লাহর পক্ষেই কেবল আমার মতো বাহারি রংয়ের হরবোলা পাখি সৃষ্টি করা সম্ভব। যাঁর সমস্ত সৃষ্টিই নিখুঁত এবং সকলের কল্পনারও বাইরে।তাসমিদ বলতে লাগলো, তোমাকে দেখার পর থেকে সর্ব শক্তিমান আল্লাহর প্রতি আমার শ্রদ্ধা আর সম্মান অনেক বেড়ে গেছে। তোমাকে না দেখে যদি বাবার কাছে এসব গল্প শুনতাম তাহলে হয়তো এতোটা বুঝতে পারতাম না।তুমি এখানে নিশ্চিন্তে থাকতে পারো। তোমার চিন্তার কোনো কারণ নেই। তুমি যেনো আরামে থাকতে পারো সেজন্য আমি সাধ্যমতো সব করার চেষ্টা করবো। ওহ্ হো! তোমাকে তো বলাই হয়নি। আমাদের বাসায় আসার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
শিশুদের লেখা খুঁজতে গিয়ে এই লেখাটা পেলাম। শিশুদের জন্য আরও বেশী পরিমান আর্টিকেল দরকার
Replyসু কা
ধন্যবাদ। দুঃখিত উত্তর দিতে দেরি হবার জন্য। সম্ভবত সিস্টেমের কোনো ত্রুটির কারণে আমার এখানে কোনো দেখাচ্ছিল না। কৌতুহলী হয়ে খুঁজতে ক্লিক করে আপনাকে পেলাম।
Replyরূপালীপাতার ঈদসংখ্যা পড়েছিলেন? সেখানেও শিশুদের নিয়ে লেখা আছে। আগামী সংখ্যাতেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। সাথেই থাকুন।