অনেক বছর আগে একটি গ্রামে একজন কৃষকের একটি গরু ছিল তার নাম ছিল গৌরী। গৌরী খুব বাধ্য আর খুব বুদ্ধিমতি ছিল। কৃষকটি রোজ সকালে উঠে গৌরীকে নিয়ে মাঠে চলে যেত।সারাদিন ওখানেই কাজ করে বিকেলে বাড়ি ফিরত।
একদিন এরকম গৌরীকে নিয়ে কৃষক মাঠে গেছেন। কিছুক্ষন পর তাঁর শরীর খুব খারাপ লাগতে শুরু করতে উনি গৌরীকে বললেন যে উনার শরীর খুব খারাপ লাগছে তাই উনি গাছের আড়ালে বিশ্রাম করতে যাচ্ছেন গৌরী যেনো দূরে কোথাও না যায়।গৌরী নিজের গলার ঘণ্টি নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।
গৌরী নিজের মনে ঘাস খেতে শুরু করলো। কিছুক্ষন পর সেখানে একটি রাক্ষস এসে উপস্থিত হলো। তার নজর পরলো গৌরীর উপর।সে একটা ফন্দি আঁটলো।সে নিজেকে কৃষকের রূপে পরিবর্তন করে গৌরীর কাছে গেলো। গৌরী ভাবলো তার প্রভু তাকে নিয়ে যেতে এসেছে। সে তাই কোনো আপত্তি করলো না রাক্ষসের সাথী হতে।
কিছুক্ষন পর কৃষকের হঠাৎ ঘুম ভেঙে যেতে সে উঠে গৌরীর খোঁজ শুরু করলো।দেখে গৌরী কোথাও নেই। সে তখন ভাবলো গৌরী গ্রামে চলে গেছে ।সে তাড়াতাড়ি গ্রামে গেলো।গিয়ে দেখে গৌরী ত গ্রামে ফেরেনি।সে আশপাশের সবার বাড়ি ও গিয়ে খোঁজ নিতে থাকে।কেউ গৌরীকে দেখেনি। তখন সবাই মিলে গৌরীকে খুঁজতে বেরোলো।সবাই মিলে নদীর ধারে এসে দেখে কৃষকের মতন একজন গৌরীকে নিয়ে নদী পার হবার চেষ্টা করছে। সবার আর ব্যাপার টা বুঝতে অসুবিধা হলনা।কৃষক গৌরীকে ওর নাম ধরে ডাকতে শুরু করলেন।গৌরী নিজের প্রভুর গলা শুনে পিছনে তাকিয়ে নিজের ভুলটা বুঝতে পারলো।এদিকে রাক্ষস ও নিজে ধরা পড়ে যেতেই নিজের ছদ্মবেশ ছেড়ে স্বরূপে এসে গেলো। কিন্তু সে বেশি কিছু করার আগেই সব গ্রামবাসী মিলে ওকে ধরে খুব পিটানি দিল আর দড়ি দিয়ে বেঁধে ওকে গ্রামে নিয়ে এলো। সেখানে সবাই মিলে একটা খুঁটিতে বেঁধে তাকে আগুন দিয়ে মেরে ফেললো।