প্রকৃতির বিমূর্ত বিচিত্র রূপ। একদিকে তার সৃষ্টির মহিমান্বিত মধুর কলতান,অন্যদিকে প্রলয়হারিনি ধ্বংসের সুর।চতুর্দিকে কত বৈচিত্রের সমাবেশ -কল্পনার ইন্দ্রধনুর বর্ণালী। কোথায় মরুর বুকে উঠের সারি,কখনো অরন্যের বুগিয়ালী স্বপ্নসুখ।আবার কখনো সহস্য তুষারধবল শৃঙ্গরাশি উচ্চশির দণ্ডায়মান,কখনো বা দরিয়ার দিগন্ততটে শুভ্র ফেনায়িত তরঙ্গ রাশির উত্তাল সমীরন। প্রত্যেক রূপেই সে অনন্যা। কর্মসূত্রে 'ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজির...
চত্বর এবং বিবিধ....................শাহরিয়ার জাওয়াদ
এটা একটা চত্বরের গল্প-কংক্রিটে মোড়া ধূসর একটা চত্বর।তারুণ্যের সে কী দাপট তখনসাক্ষী দেয়ালের প্রতিটি প্রস্থর!এটা হয়তো তারুণ্যের গল্প-সে কী তেজ, ঠিক যেন অগ্নিপিণ্ড!জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয় সবকিছুদম ফেলবার ফুসরত নেই একদণ্ড।এটা হয়তো আনন্দের গল্প-অনেকে খুলত গল্পের ঝাঁপি, অঙ্কন,কবিতা, গান, অভিনয় আর কিছুবলিষ্ঠ আঙ্গুল তুলত গিটারের তারে কম্পন!দেয়ালে দেয়ালে আঁকা হতোশত সহস্র রঙিন গ্রাফিতি;কখনো তা হতো প্রতিবাদের...
সমুদ্র বিলাস................রাকিব সামছ শুভ্র
'গরীব মিসকিন আত্মীয় বাসায় আসা মানেই টাকা ধার চাইতে আসা' ফুপার শুনিয়ে জোরে বলা কথাটা হয়তো অপমান সূচক। কিন্তু আমি শুনেও না শোনার ভান করলাম। পাশে বসা ফুপুর চেহারার দিকে তাকাতে সাহস হচ্ছে না। না তাকিয়েও আমি বেশ বুঝতে পারছি, তার বড় ভাইয়ের এই ছেলেটার জন্য দুয়েক ফোটা অশ্রুজল ভালোবেসে গড়িয়ে পরছে।ঢাকা শহরে আমার এই একজনই আত্মীয় যে কিনা নিঃস্বার্থভাবে আমাদের ভালোবাসেন। নিজেদের প্রয়োজনে হলেও এখানে আমরা মাঝে...
মৃত্যু চুম্বন (সেরা গল্প) ..................মনিরুল ইসলাম জোয়ারদার
এ সময়টাতে রিক্সা পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। সকাল নটা থেকে দশটা সাড়ে দশটা এগারোটা পর্যন্ত রাস্তায় সব ধরনের কর্মজীবিরা নেমে আসে ফলে রিকশা কিংবা সিএনজি পাওয়া খুবই দুষ্কর। দেরি হলে ক্লাশ মিস হয়ে যাবে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়লো অনুরাধা ব্যানার্জী।ঠিক দশটা চল্লিশে ক্লাশ শুরু,উদ্বিগ্ন হয়ে এদিক ওদিক দেখলো একটা রিকশাও খালি নেই এদিকে দশটা পনের বাজে হঠাৎ মাথায় ঢুকলো পাঠাওয়ের মোটরসাইকেলের কথা কদিন আগে ওর...
শিরোনামহীন পর্ব ২................মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন
আব্দুর রহমান সাহেব বন্দী পাক চৌকিতে। গত তিন দিনে তাঁর ওপর দিয়ে অমানুষিক নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চলেছে। শারীরিকভাবে ভীষণ ক্লান্ত তিনি। প্রচন্ড ঘুম পাচ্ছে কিন্তু শরীরের ব্যথায় ঘুমাতেও পারছেন না। তারপরও সন্ধ্যার পর থেকেই ঘুমের ভান করে রূমের এক কোণায় মেঝেতে শুয়ে আছেন আর স্ত্রী সন্তানের জন্য দুশ্চিন্তা করছেন। রাত ১১টার পর চারদিকের সব আলো নিভিয়ে দেয়া হলো। অন্ধকারের...
শুভ নববর্ষ..............তুহিন রহমান
(প্রকাশিত বই থেকে)পহেলা বৈশাখ ১৪২৭ ওর সাথে দেখা হয়েছিলো পহেলা বৈশাখের দিন রমনা পার্কে। দিনটাকে এখনও আমি আমার জীবনের সেরা দিন মনে করি। কয়েকজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে দুটো রিকসায় আমরা সকাল সকাল চলে গিয়েছিলাম রমনায়। উদ্দেশ্য পান্তা ইলিশ খাবো। তখন সুর্য্যমামা সবেমাত্র উঠেছে ওপরে। বাতাসে কেমন একটা ঘ্রান। রাস্তায় অনেক মানুষ। এতো সকালবেলাতেই সবাই একটা আমেজ নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে। মন খারাপ হয়ে গেল। আগেরদিন অনেক পরিকল্পনা...
ইউরোপ ভ্রমন পর্ব ২ (ফ্রান্স)....................মনিরুল ইসলাম জোয়ারদার
এয়ারপোর্টের ভেতরে বাস থেকে নেমে চলন্ত সিড়ি দিয়ে উপরে চলে এলাম। চারিদিকে তাকিয়ে এয়ারপোর্টের সৌন্দর্য্য দেখছিলাম আর চমকিত হচ্ছিলাম। বিশাল বড় এই সিডিজি এয়ারপোর্ট। প্লেনের কমতি নেই যাত্রীরও কমতি নেই তবুও হৈ চৈ বিহীন অনেকটা নীরবে সমস্ত কার্যক্রম চলছে। চেকিংয়ের পর ইমিগ্রেশান পার হয়ে লাগেস বেল্টের কাছে দাড়ালাম, কিছুক্ষণ পর লাগেসগুলি পেলাম, দুটো ট্রলি নিয়ে এলো আনান। ব্যাগগুলো উঠিয়ে ইমিগ্রেশন পার হয়ে চলে...
দেবী ২...................তুহিন রহমান
চারসুশীল আর জাহিদ চোখ বড়ো বড়ো করে আছে। হীরা ভাইয়ের অবস্থাও একই। মনে হয় এই সময়ের ভেতর তারা একটা ঢোক পর্যন্ত গেলেনি। অচিনদেব একটু থামতে সুশীল হামলে পড়লো,‘তাহলে আপনি একজন অবতার?’ সে তার দুই হাতের তালু ইতিমধ্যে একত্র করে প্রনামের ভংগি করে ফেলেছে।‘হ্যাঁ আমি এখন একজন অবতার তবে তোমরা যেমন ভাবো তেমন নয়।তোমাদের হিন্দু ধর্মে দেবী তার অবতারের ওপর ভর দিয়ে মর্তে আসেন। অথচ আমার সাথে আমার দেবী ডোরিনিয়ার কথা হলেও...
Subscribe to:
Posts (Atom)