এটা একটা চত্বরের গল্প-
কংক্রিটে মোড়া ধূসর একটা চত্বর।
তারুণ্যের সে কী দাপট তখন
সাক্ষী দেয়ালের প্রতিটি প্রস্থর!
এটা হয়তো তারুণ্যের গল্প-
সে কী তেজ, ঠিক যেন অগ্নিপিণ্ড!
জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয় সবকিছু
দম ফেলবার ফুসরত নেই একদণ্ড।
এটা হয়তো আনন্দের গল্প-
অনেকে খুলত গল্পের ঝাঁপি, অঙ্কন,
কবিতা, গান, অভিনয় আর কিছু
বলিষ্ঠ আঙ্গুল তুলত গিটারের তারে কম্পন!
দেয়ালে দেয়ালে আঁকা হতো
শত সহস্র রঙিন গ্রাফিতি;
কখনো তা হতো প্রতিবাদের ভাষা
আবার কখনো বাড়াত সম্প্রীতি।
বেশ তো ছিল ধূসর চত্বর-
হাজারো রঙে পড়েছিল ঢাকা,
হঠাৎ সবই পালটে গেল
নিমেষমাত্রেই সবই ফাঁকা।
কেউ আর খোলেনা তার গল্পের ঝাঁপি
কেউ আর গায় না গান; কবিতাটাও ঠিক জমে না।
অগ্নিপিণ্ড আজ নিজেই ভস্ম যেন
গিটারের তার আর কাঁপে না।
চুপচাপ এক বৃদ্ধ চত্বর নীরবে ঝিমোতে থাকে
দেয়ালে ফাঁকে জন্মেছে মস, ক্রমেই বাড়ছে তাতে।
ভয়াবহ এ নিঃসঙ্গতা, অসহ্য মনে হয়
এরই মাঝে আজও দেয়ালের গ্রাফিতিরা জেগে রয়!
Subscribe to:
Post Comments (Atom)